অবরোধেও শুরু হলো এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সারা দেশে শেষ হয়েছে প্রথম দিনের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। আজ সকাল ১০টায় দেশের সব কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে পরীক্ষা।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকে লাগাতার অবরোধের মধ্যেই দেশের মোট আট হাজার ৩০৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শুরু হলো ২০১৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৩ জন ছাত্র এবং পাঁচ লাখ দুই হাজার ৮৯১জন ছাত্রী।
আট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আট লাখ ৮৬ হাজার ৯৩৩ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৮৪ হাজার ৩৬০ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৯৮ হাজার ২৪৭ পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। এ ছাড়া ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজে চার হাজার ৩৪৪ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে ২৪১ পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। বিদেশে কেন্দ্রগুলো হচ্ছে দোহা, আবুধাবি, জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপোলি, দুবাই ও বাহরাইন।
প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
এদিকে, পরীক্ষা শুরুর আগেই স্থগিত হয়ে গেছে তিনদিনের পরীক্ষা। তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ এপ্রিলের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। গত ২৯ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরো জানান, পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের আশপাশের ফটোকপির দোকান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি তদারক করবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর কঠোর নজরদারি থাকবে। পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত বিজি প্রেসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নজরদারির আওতায় রাখা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।