প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ

ঝিনাইদহের সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন পরাজিত এক প্রার্থী।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের তিনদিন পর আজ বুধবার সকাল ১১টায় ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাবের সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মধুহাটি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান মিনা। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিও। গত ২৮ মে পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে মিনা (ভ্যানগাড়ি মার্কা) দুই ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান মিনা বলেন, ভোট গ্রহণের দিন ৯ নম্বর ওয়ার্ড মধুহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন ঝিনাইদহ সরকারি কে সি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক এ এইচ এম হুমায়ুন কবির। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রবিউল ইসলামের (তালা মার্কা) পক্ষ অবলম্বন করেন। ভোট গ্রহণ শেষে কোনোমতে একবার গণনা করেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। প্রিসাইডিং অফিসার ঠিকমতো ভোট গণনা না করেই বেসরকারিভাবে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে দুই ভোট বেশি দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।
‘ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় সন্দেহ থাকায় কেন্দ্রে নিয়োজিত আমার পোলিং এজেন্ট ভোট আরেকবার গণনা করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারকে অনুরোধ জানান। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি।’
পরাজিত প্রার্থী আরো অভিযোগ করে বলেন, এ ছাড়া ভোট গণণা শেষে বলা হয়, মোট ৮০টি ভোট বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর (তালা মার্কা) ১৯টি আর আমার (ভ্যানগাড়ি মার্কা) ৬১টি। ভোট গণনাকালে প্রিসাইডিং অফিসার আমার পোলিং এজেন্টকে বাতিল ভোট দেখাননি। বাতিল ভোট দেখানোর জন্য অনুরোধ জানালেও তিনি তা দেখাননি। ভোট গণনার আগেই তিনি কৌশলে রেজাল্ট শিটে আমার পোলিং এজেন্টের স্বাক্ষর নিয়ে নেন। যা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালার পরিপন্থী।
মিনা আরো জানান, এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তাই সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মধুহাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আসাদুল ইসলাম, হাসেম আলী, কামাল হোসেন প্রমুখ।