কচুয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

কচুয়া উপজেলায় আয়না বেগম (১৭) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বাগেরহাটের একটি আদালত।
আজ সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত ২-এর বিচারক মো. রেজাউল করিম আসামির উপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় দেন। পাশাপাশি তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমজাদ খান (৪২) উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলায় সরকারপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) শরৎ চন্দ্র মজুমদার এবং তালুকদার মো. মাহাতাব আলী বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের বাবুলের সুপারি বাগানের খালের পাড় থেকে আয়না বেগমের গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিয়া রব বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান তদন্ত করেন। তিনি ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মো. আমজাদ খানের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, পিরোজপুর জেলার আয়না বেগমের সঙ্গে মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে সম্পর্ক হয় আমজাদ খানের। পরে তাঁকে কৌশলে ডেকে এনে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়। পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যান আমজাদ।
নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ খুনিকে শনাক্ত করে।