সুন্দরবনে স্মার্ট টহল শুরু

তারবিহীন যোগাযোগব্যবস্থা জিপিআরএসের মাধ্যমে সুন্দরবনে স্মার্ট প্যাট্রলিং (টহল) শুরু হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনে আজ শুক্রবার এ ব্যবস্থা চালু করেছে বন বিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে এবং পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে শুরু হওয়া স্মার্ট প্যাট্রলিং চলবে আগামী ছয় মাস অর্থাৎ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণে আঞ্চলিক সহায়তা জোরদারকরণ প্রকল্পে’র আওতায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বন পাহারায় প্রবেশ করল বন বিভাগ। এর মধ্য দিয়ে সুন্দরবনের সব ধরনের অপরাধ দমন ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বন্য প্রাণী এবং বনজ সম্পদ রক্ষা করা সহজতর হবে।
শরণখোলা, চাঁদপাই, নলিয়ান ও বুড়িগোয়ালিনী—এই চারটি রেঞ্জে প্রতিটিতে তিনটি করে স্মার্ট টহল দলে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে সাতজন কর্মকর্তা ও নয়জন বনরক্ষী রয়েছেন। প্রথম দুটি দল পালাক্রমে ১৫ দিন করে সুন্দরবনের প্রতি রেঞ্জজুড়ে অভিযান চালাবে। তৃতীয় দলটি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত থাকছে বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য। প্রতিটি দলের সঙ্গে রয়েছে দুটি করে লঞ্চ, একটি স্পিডবোট, একটি ফাইবার বডি ট্রলার। স্মার্ট টহল দলের সদস্যরা প্রতিদিন তাদের টহল এলাকার চিত্র জিপিআরএসের মাধ্যমে ধারণ করবেন এবং পরে তা কম্পিউটারে ডাটা এন্ট্রি করা হবে। সেই ডাটা এন্ট্রি অনুযায়ী অপরাধপ্রবণ এলাকা, অপরাধী ও অপরাধীর ধরন চিহ্নিত করে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে স্মার্ট টহল দলের প্রশিক্ষিত সদস্যরা আধুনিক প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমেছে।
সাইদুল ইসলাম জানান, স্মার্ট টহলের সময় বন ও বন্য প্রাণী সংক্রান্ত দস্যুতা দমন, বাঘসহ সব জীবিত বা মৃত বন্য প্রাণী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে ল্যাবে সংরক্ষণ করা হবে। এই স্মার্ট টহলের মাধ্যমে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা ও অপরাধ দমন সহজতর হবে।