জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদেশে বিচারক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁকে কারাগারে দেওয়া আদালতের উদ্দেশ্য নয়। তিনি ন্যায়বিচার পান, এটাই আদালতের প্রত্যাশা। তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হলো। তিনি আগে যেভাবে জামিনে ছিলেন, এখনো সেভাবে থাকবেন।’
মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এ জে মোহাম্মদ আলী।
দুই মামলায় হাজিরা দিতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া। ওই সময় তাঁকে ঘিরে রাখেন আইনজীবী ও দলের নেতা-কর্মীরা। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই শুরু হয়েছিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ। দুই মামলায় গত ২৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলা দুটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিল। তবে নিরাপত্তার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারছেন না জানিয়ে আদালতের কাছে সময়ের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। পাশাপাশি সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করারও আবেদন জানান তাঁরা। কিন্তু সময়ের আবেদন নামঞ্জুর ও আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে দুই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে আদালত সেটিও নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রাখেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এনটিভিকে জানিয়েছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তিনি প্রস্তুত।
তবে এর কয়েক দিন পর ৩ মার্চ দুর্নীতির দুটি মামলায় আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করে নিতে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই দিন তাঁর পক্ষে তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে আবেদনটি জমা দেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালে জিয়া অরফানেজ ও ২০১১ সালে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা করে দুদক। মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ আসামি নয়জন।