বরাদ্দ হাজার কোটি টাকা অথচ শ্রমিকদের বেতন নেই

পাট খাতে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ এর পরও পাটকল শ্রমিকরা বকেয়া, মজুরিভাতা আজও পাননি। তার ওপর আনুষ্ঠানিক পত্র দিয়ে সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ কেমন বিচার?
আজ খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল সিবিএ-ননসিবিএ ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব এস এম জাকির হোসেন।
সংগঠনের নেতারা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বকেয়া পাওনা পরিশোধ করার পাঁচ দফা দাবির কথা জানান। দাবি মানা না হলে ঈদের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তাঁরা জানান।
সংগঠনের সদস্য সচিব এস এম জাকির হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে এক হাজার কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
জাকির হোসেন জানান, গত ১৩ এপ্রিল পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের আহ্বানে শ্রমিক নেতারা ঢাকায় বৈঠক করেন। পরে প্রতিমন্ত্রী নিজে ঘোষণা দেন, ২৫ এপিলের মধ্যে সকল বকেয়া পরিশোধ করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশ বকেয়া এবং চাকরি হারানো শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। পাটকলগুলো পর্যাপ্ত পাট ক্রয় করেনি। বরং বিজেএমসি থেকে পত্র দিয়ে সিবিএকে কোনো মিছিল, মিটিং না করতে প্রছন্নভাবে নিষেধ করা হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ঐক্য পরিষদ আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জাকির হোসেন বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ কেমন বিচার? সে প্রশ্ন আমরা কার কাছে করব?