মুছাকে ‘ফেরত’ চান স্বজনরা

পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন কামরুল সিকদার ওরফে মুছাকে জীবিত ফেরত চেয়েছেন তাঁর পরিবার। মুছার স্ত্রী পান্না আক্তারের দাবি গত ২২ জুন বন্দর থানা এলাকা থেকে মুছাকে আটক করে পুলিশ; অথচ এখন পুলিশ তা স্বীকার করছে না।
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মুছার স্ত্রী পান্না আকতার।এ সময় তার দুই ছেলে সামশুদ্দোহা সিকদার ও নুরুদ্দোহা সিকদার এবং মুছার শ্বশুর ফারুক সিকদার উপস্হিত ছিলেন।
পান্না আক্তার বলেন, ‘গত ২২ জুন সকালে বন্দর থানা এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন সেলিম ও পুলিশ কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে মুছাকে আটক করা হয়।’
পান্না আক্তার জানান, ২০০৩ সাল থেকে মুছা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন এবং তিনি ছিলেন একজন বালু ব্যবসায়ী। আটকের সময় তাঁর ভাসুর সাইদুল ও মামলার সন্দেহ ভাজন আসামি নূর নবীও পুলিশের সাথে ছিলেন। গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে মুছাকে তুলে নেওয়া হয়েছে। আটকের সময় মুছাকে ছেড়ে দেওয়া হবে এমন আশ্বাসের কথা জানান সাদা পোশাকে আসা পুলিশ সদস্যরা।
পান্না জানান, এর পর বিভিন্ন থানায় খোঁজ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ১৩ দিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা মুছাকে আটকের কথা স্বীকার করছেনা।মিতু হত্যার ঘটনার সময় মুছা বাসায় ছিলেন এবং তাঁকে নির্দোশ বলে দাবি করে তাঁর পরিবার।
গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর জি ই সি মোড়ে সংঘবদ্ধ চক্র মিতুকে গুলী ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।