ভিজিএফের চাল পেয়েছেন জামায়াত নেতার লোকজন

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ইউনিয়ন পরিষদে ঈদ উপলক্ষে বরাদ্দ করা ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি ১৪৪ জন ভিজিএফ কার্ডধারীকে দুই হাজার ৮৮০ কেজি চাল না দিয়ে নিজের পছন্দের লোকদের ওই চাল বিতরণ করেন।
এ ঘটনায় সরেজমিন তদন্ত শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদুর রহমান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জামায়াতের আমির শরিফুল আলম মিল্টনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
আজ রোববার দুপুরে ইউএনও ফরিদুর রহমান জানান, ইউনিয়নের মোট দুই হাজার ৯০২ জন কার্ডধারীর মধ্যে দুই হাজার ৭৫৮ জনকে চাল বিতরণের পর বাকি চাল নিজের পছন্দের লোকদের মধ্যে বিতরণ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। এতে কার্ডধারী ১৪৪ জন ঈদের আগে সরকারি এই বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ জন্য ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে আগামীকাল সোমবারের মধ্যে কার্ডধারী ১৪৪ জনকে চাল দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এমন না করেন সে জন্য লিখিত নেওয়া হয়েছে।
গত ৩ ও ৪ জুলাই দামুড়হুদা ইউনিয়নে দুস্থদের মধ্যে ঈদের ভিজিএফের চাল বিতরণের দিন ধার্য করা ছিল। ওই দুদিনে মোট দুই হাজার ৭৫৮ জনের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ১৪৪ জন বাকি থেকে যায়। ৫ জুলাই চেয়ারম্যান কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে নিজের পছন্দের লোকজনের মধ্যে চাল বিতরণ করেন। ফলে ওই ১৪৪ জন বঞ্চিত হন।
বিষয়টি জানাজানি হলে দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শফিউল কবীর ইউসুফের নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি ইউপি চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।
বিষয়টি নিয়ে আজ ইউএনওর উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যানের কক্ষের তালা খোলা হয় এবং সেখানে বৈঠক হয়। বৈঠকে চেয়ারম্যানকে দোষী সাব্যস্তসহ ওপরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে ইউএনওর কথামতো ১৪৪ জনকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার জন্য অঙ্গীকার করলেও চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিল্টনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বঞ্চিত লোকসংখ্যা ১৪৪ নয়, মাত্র ৩৮ জন।