কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে ডামুড্যায় বিক্ষোভ

জাতীয়করণের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস বর্জন, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে শরীয়তপুরের পূর্ব মাদারীপুর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার থেকে কলেজে তালা ঝুলিয়ে সব ধরনের ক্লাস বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব মাদারীপুর কলেজটি শরীয়তপুর জেলার প্রথম ও ডামুড্যা উপজেলার একমাত্র কলেজ। কলেজে বর্তমানে ছাত্রছাত্রী প্রায় এক হাজার ৪০০। প্রথম ধাপে দেশের মোট ১৯৯টি কলেজকে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু ওই তালিকায় নাম না থাকায় আন্দোলনে নেমেছে পূর্ব মাদারীপুর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, সরকারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও স্বার্থান্বেষী একটি বিশেষ মহলের ইশারায় প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয়করণ করা হয়নি। জাতীয়করণের তালিকায় কলেজের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবিতে গতকাল রোববার থেকে আন্দোলনে নেমেছে কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রোববার তারা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আজ সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে তালা ঝুলিয়ে কলেজের সামনে ডামুড্যা প্রধান সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রছাত্রীরা। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ছাত্রছাত্রীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সরকারের বিরুদ্ধে নয় বরং যারা চক্রান্ত করে তালিকা থেকে কলেজের নাম বাদ দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ছাত্রলীগ এমনটা দাবি সংঠনটির।
ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান রুবেল বলেন, ‘সম্প্রতি প্রকাশিত জাতীয়করণের তালিকায় পূর্ব মাদারীপুর কলেজের স্থান না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। পাশের দুটি উপজেলার দুটি কলেজ জাতীয়করণের তালিকায় স্থান পেলেও এই কলেজটি স্থান পায়নি। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ করছি কলেজটি জাতীয়করণের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।’
পূর্ব মাদারীপুর কলেজের অধ্যক্ষ জহির উল্লাহ বলেন, ‘জাতীয়করণের নীতিমালা অনুযায়ী কলেজটি সব মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও অদৃশ্য কারণে এই কলেজটির নাম জাতীয়করণের তালিকায় আসেনি। সংসদ সদস্যের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলেছি। এ বিষয়ে তিনি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করছেন। আশা করি, খুব শিগগির এই কলেজটি জাতীয়করণের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে।’