গুলশান-কাণ্ডের পর একটি দেশ সৈন্য পাঠাতে চেয়েছিল

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, গুলশানে হামলার পর একটি বৃহৎ রাষ্ট্রের একজন দায়িত্ববান কর্মকর্তা সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে এ দেশে সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সে প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশ বলেছে, যাচাই-বাছাই করে দেখে যখন যেটুকু প্রয়োজন, ততটুকু সহযোগিতা নেওয়া হবে।
আজ দুপুরে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে ইমামদের নিয়ে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের আহ্বান’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ এ কথা বলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন খুলনা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মাওলানা রুহুল আমিন সিরাজী, পরিচালক হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
হানিফ বলেন, ‘এই বাংলাদেশে আইএস আছে, তা একবার প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই যে পশ্চিমা দেশগুলো এক বছর ধরে বারবার বলছে, তাদের জন্য সহজ হবে এই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল বলতে। এরই মধ্যে একটি বৃহৎ রাষ্ট্রের একজন দায়িত্ববান কর্মকর্তা সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন, সন্ত্রাস নির্মূলে তাঁরা সহযোগিতা করতে চান। এর আগেও তাঁরা সৈন্য পাঠাতে চেয়েছিলেন। আমাদের সরকার থেকে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই করে দেখে যখন যেটুকু প্রয়োজন, ততটুকু সহযোগিতা নেওয়া হবে। পশ্চিমা দেশগুলো যেকোনো অজুহাতে বাংলাদেশে একবার তাদের বাহিনী ঢোকাতে পারলে, যেভাবে ইরাক, লিবিয়া ও আফগানিস্তান ধ্বংস হয়েছে, সেভাবে আস্তে আস্তে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে।’
এই আওয়ামী লীগ নেতা আরো বলেন, ‘কথিত আইএস ইহুদিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় কথিত জঙ্গি হামলা প্রথম খবর প্রচার করে সাইট ইন্টেলিজেন্ট গ্রুপ, যার প্রতিষ্ঠাতা ইহুদি রিতা। যার বাবা ইরাকে গুপ্তচরবৃত্তি করতে গিয়ে নিহত হয়েছিলেন। আর গুলশান ঘটনার পর সিএনএন তাদের নিয়মিত অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ করে গুলশান হামলার ঘটনা প্রচার করে। তারাই আগে প্রচার করে যে বিশজনকে হত্যা করা হয়েছে।’