আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের বিরুদ্ধে ২ মামলা

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করা সুন্দরবনের বনদস্যু ইলিয়াস ও মজনু বাহিনীর প্রধানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতে দস্যুদের খুলনার দাকোপ থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে র্যাব ৮-এর পক্ষে উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আমজাদ হোসেন অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করেন।
দাকোপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, অস্ত্র আইনে বনদস্যু মজনু বাহিনীর নয় সদস্যের নামে একটি এবং ইলিয়াস বাহিনীর দুই সদস্যের নামে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। আজ শনিবার ১১ বনদস্যুকে খুলনার আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আত্মসমর্পণ করা বনদস্যুরা হলেন—মজনু বাহিনীর প্রধান মজনু গাজী, মো. বাবুল হাসান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন রহমত, মো. ইদ্রিস আলী, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. মজনু শেখ, মো. রবিউল ইসলাম ওরফে ইমদাদুল, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো এনামুল হোসেন এবং ইলিয়াস বাহিনীর প্রধান মো. ইলিয়াস হোসেন ও মো. নাসির হোসেন।
র্যাব-৮ সূত্রে জানা গেছে, আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের বাড়ি খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে গতকাল মজনু ও ইলিয়াস বাহিনীর ১১ সদস্য ২৫টি অস্ত্র ও এক হাজার ২০ রাউন্ড গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
এর আগে গত ৩১ মে মোংলায় ৫২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ হাজার গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন সুন্দরবনের বনদস্যু মাস্টার বাহিনীর প্রধান কাদের মাস্টারসহ ১০ জন। সে সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্য দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানান। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ইলিয়াছ ও মজনু বাহিনীর ১১ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন।