শরীয়তপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬

শরীয়তপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংষর্ঘে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবরসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শরীয়তপুর সরকারি কলেজে ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর এবং সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ তালুকদার সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদশীরা জানায়, শিগগির শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে। জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ তালুকদার ছাত্রলীগের সভাপতির পদ প্রত্যাশী। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছে।
শরীয়তপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস ও কলেজ হোস্টেলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই দুই ছাত্রনেতার সমর্থকদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার মহসিনের সমর্থকরা সবুজের সমর্থক সাদ্দাম হোসেন ও নেছার আহম্মেদকে মারধর করে।
এর জের ধরে সবুজের সমর্থকরা আজ বেলা ১১টার দিকে মহসিন মাদববের ওপর আক্রমণ করে। তারা মহসিন মাদবর, মকবুল মাদবর, রুহুল আমীন ঢালী ও রাসেল সরদারকে কুপিয়ে আহত করে। আহতদের শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মহসিন মাদবরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমীন ঢালী বলেন, ‘সবুজ তালুকদার কলেজ হোস্টেলের ছাত্রদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে উৎসাহিত করেন। আমরা বিষয়টি বাধা দেই। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। জেলা আহ্বায়কসহ চার নেতাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।’
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ তালুকদার বলেন, মহসিন মাদবর তাঁর দলে না থাকায় কলেজ ছাত্রাবাসে বসবাসরত কয়েক শিক্ষার্থীকে সোমবার মারধর করে। ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা আজ মহসিন মাদবরকে মারধর করেছে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।