খুলনায় মসজিদ মন্দির গির্জায় পালা করে পাহারা : এমপি মিজান

খুলনার প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে মসজিদ, মন্দির , গির্জা সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট ঘোষণাকালে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন।
মিজানুর রহমান জোর দিয়ে বলেন, ‘খুলনায় সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যপূর্ণসহ অবস্থান দীর্ঘদিন থেকে বিরাজমান। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতেই গুলশান ও শোলাকিয়া ঘটনার পর থেকে তারা দলীয়ভাবে প্রতিটি মন্দির, মসজিদ, গির্জা, মাদ্রাসা পালা করে পাহারা দিয়ে আসছে। জেলা ও মহানগর কমিটি আজ ঘোষণা করা হলেও ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে পাহারার কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকে।’
মিজানুর রহমান আরো বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশে ১৪ দলের সমমনা এবং পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হলো। তারা এলাকায় জঙ্গিবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি করবে।’
কমিটিতে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটির সভাপতি, মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেনকে সদস্য সচিব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলমকে যুগ্ম সচিব, সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক , জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফার রশিদী সুজা, খুলনা চেম্বার অব কমার্স কাজি আমিনুল হকসহ ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, খুলনার সব সংসদ সদস্য, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে), খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, বিভাগীয় নৌপরিবহন মালিক গ্রুপ, খুবি শিক্ষক সমিতি, কুয়েট শিক্ষক সমিতি, বিএমএ, ক্যাবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনসহ মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের সব সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক, সম্পাদক মণ্ডলী, থানা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর ও জেলার সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক। নগরীর সব কলেজ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি, অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকরাসহ সব জনপ্রতিনিধি, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তি, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংবাদিক, কৃষিবিদ, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, সংস্কৃতিকর্মী, শ্রমিক, কৃষক, নারী, ছাত্র, যুবক, তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যক্তিদের এ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।