নরসিংদীতে ‘সিরিয়াল ধর্ষক’ আটক

প্রতারণার অভিযোগে কাইয়ুম (২৬) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশের দাবি, আটককৃত ব্যক্তি ‘বহু নারীর সর্বনাশকারী লম্পট এবং সিরিয়াল ধর্ষক’। এমনকি একই পরিবারের তিন বোনের সঙ্গে এই ব্যক্তির দৈহিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ আছে বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ জানায়, প্রথমে ফেসবুকে ও পরে ফোনালাপের মাধ্যমে নারীদের সঙ্গে পরিচিত হতো কাইয়ুম। এরপর নানা ছলনায় সম্পর্ক স্থাপন করে এর ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণ করত সে।
পরে সেই গোপন ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে ওই নারীদের ব্লাকমেইল করত সে। এভাবেই নরসিংদীর একটি পরিবারের সহোদর তিন বোনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল কাইয়ুম।
ওই সহোদরদের একজন নিরুপায় হয়ে পুলিশকে এই প্রতারক সম্পর্কে জানান। অবশেষে রোববার সকালে নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল গাফফারের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে ।
আটকের পর আজ মঙ্গলবার সকালে এসআই আবদুল গাফফার জানান, রোবার অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে এক নারীর সঙ্গে পার্কে দেখা করার জন্য এসেছিল ওই লম্পট। ওই নারীর দেওয়া তথ্যে আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আবদুল গাফফার জানান,আটক হওয়ার পর কাইয়ুমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বহু নারীর সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। কাইয়ুম আগে মালেয়শিয়ায় থাকত বলেও জানায় পুলিশ।
প্রেম-ভালোবাসার অভিনয় করে প্রতারণা এবং দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করায় কাইয়ুমের বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় একটি মামলা করেন ওই তিন বোনের একজন। ওই নারীর মামলা ও তথ্যের ভিত্তিতে রোববারই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবদুল গাফফার মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন,‘কাইয়ুমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও, ফেসবুক থেকে পাওয়া বিভিন্ন ছবি ও বার্তা থেকে বোঝা গেছে সে একজন সিরিয়াল ধর্ষক।’
ডিবির এই কর্মকর্তা আরো বলেন,‘বিভিন্ন ছল-চাতুরীর মাধ্যমে কাইয়ুম এই কাজ করে আসছিল। এক নারী নিরুপায় হয়ে আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছে বলেই তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।’
এরপর আজ বিকেলে আবদুল গাফফার জানান,‘গ্রেপ্তারকৃত কাইয়ুমের বিরুদ্ধে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। কত নারীর সঙ্গে সে প্রতারণা করেছে রিমান্ডে তা জানা সম্ভব হতে পারে।’