সরকারের কাছে ক্ষমা চেয়ে আত্মসমর্পণ করা সুন্দরবনের বনদস্যু মাস্টার বাহিনী ১০ সদস্যের মধ্যে ছয়জন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বাগেরহাট কারাগার থেকে মুক্তি পান ওই ছয়জন।  

এর আগে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফজলুল হক ১০ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। র‌্যাবের অস্ত্র আইনে করা এ মামলায়  মাস্টার বাহিনীর ১০ সদস্যের সবার জামিন হলেও মুক্ত হয়েছেন ছয়জন। 

অন্য চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা থাকায় তাঁরা কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারেননি বাহিনীর প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার, বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড সোহাগ আকন, সুমন সরদার ও মো. হারুন।  

জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন, বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মিঠাখালী এলাকার  মো. সুলতান খাঁন, একই এলাকার মো. ফজলু শেখ, রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের সোলাইমান শেখ, খুলনার দাকোপ উপজেলার শাহীন শেখ, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মোনাগাছার এলাকার মো. আরিফ সরদার ও একই এলাকার আসাদুল ইসলাম কোকিল।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ড. একে আজাদ ফিরোজ টিপু জানান, গত ৩১ মে মংলায় বন্দরের বিএফডিসির জেটিতে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদসহ বাহিনীর প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার অন্য ৯ বনদস্যুকে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ মাস্টার বাহিনী ১০ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। বিষয়টি আদালত বুঝতে পেরে তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।