রাজশাহীবাসীকে রক্ষার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও

পদ্মা নদীর ভাঙনরোধে টেকসই প্রকল্প গ্রহণ এবং তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে রাজশাহীবাসীকে রক্ষার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেছে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল করে কর্মসূচিতে অংশ নেন।
রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই পদ্মার বাঁধ রক্ষা করা না গেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাজশাহী আদালতসহ অসংখ্য সরকারি স্থাপনা রক্ষা করা যাবে না।’ দ্রুত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা কাজী তোফায়েল আহমেদ এদেশের নদীভাঙন রোধকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার নামে কালক্ষেপণ করেন। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের আগেই তা আবার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যায়।’
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘পদ্মার ভাঙন থেকে রাজশাহীকে রক্ষায় স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণের দীর্ঘদিনের দাবি এবার দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে রাজশাহীবাসী ঘরে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে রাজশাহীকে অচল করে দেওয়া হবে।’
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন, নারীনেত্রী শাহীন আক্তার রেনী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, ওয়ার্কার্স পাটির মহানগর সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, জেলা বিএনপি নেতা মতিউর রহমান মন্টু, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য মুরাদ খান প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, রাজশাহীর বুলনপুর, পঞ্চবটি-শ্মশানঘাট, নবগঙ্গা, গহমাবোনা, সোনাইকান্দি, খানপুর, খিদিরপুর, গোদাগাড়ী, চারঘাট ও ক্যাডেট কলেজ প্রভৃতি এলাকা বিগত কয়েক বছরের ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসংখ্য মানুষ সহায়-সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে।
ভাঙনরোধে এর আগে প্রধানমন্ত্রী, পানিসম্পদমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রীসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যদের স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।