বন্যা দুর্গতদের পাশে না দাঁড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : মায়া
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কোনো টালবাহানা সহ্য করা হবে না। কোনো জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা ত্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেললে শাস্তি পেতে হবে।’ বন্যা দুর্গতদের পাশে না দাঁড়ালে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আজ সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ বাজারে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী।
মোফাজ্জল হোসেন মায়া বলেন, ‘সারা দেশের ১৬টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। আরো কয়েক দিন হয়তো এই পানি থাকবে। এসব জেলার দুর্গতদের জন্য নগদ সাড়ে ছয় কোটি টাকা ও ১৩ হাজার টন ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আছে তাদের দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যত দিন পানি বাড়িঘর থেকে নেমে না যায়, তত দিন তাদের এই খাবার দেওয়া হবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিত্তবানদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন। যাঁরা সমাজের বিত্তবান ও সমাজসেবক আমরা তাঁদের অনুরোধ করব- দলমত নির্বিশেষে আপনারা দুর্গতের পাশে এসে দাঁড়ান।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন অব দ্য ওয়ার্ল্ড। আমরা তাঁর কর্মী। দুর্যোগ কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা দেশের ১৬ কোটি মানুষ জানে। আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব নেই, আমাদের শুধু ধৈর্য সহকারে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের কোথাও ত্রাণের জন্য হাহাকার নেই। আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য হাতে রেখেছি। আমাদের কোনো কিছুর অভাব হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা অফিসে বসে নেই। তারা ১৬টি জেলায় দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য চলে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে এই ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেবে তারা।’
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম গালিব খানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাফরগঞ্জ আসেন। সেখানে তিনি বন্যা দুর্গত প্রায় ২০০ মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এরপর তিনি টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা হন।