খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত, জামায়াতকে রাখার প্রয়োজন নেই

‘খালেদা জিয়া তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেনই ২০ দলের মধ্যে ওই দলটিকে আর ওইভাবে রাখার প্রয়োজন নেই। এটা এখন বোঝা, সম্পদ না।’
জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে এ কথা বলেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজ উদ্দীন আহমদ। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ওই সভার আয়োজন করে।
জঙ্গিবাদের শিকড় এখনো গভীরে যায়নি উল্লেখ করে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, যেকোনো জাতীয় সংকটে সবার আগে প্রয়োজন সব মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় এ দল এখন একটি বোঝা।’
বর্তমান সংকট মোকাবিলায় দেশে জাতীয় ঐক্য এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে- সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এমন বক্তব্য মানতে রাজি নন মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া বক্তারা। বিরাজমান পরিস্থিতি বিষয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তারা বলেন, প্রধান দলগুলোর ভুল রাজনীতির কারণে দেশে জঙ্গিবাদের মতো সংকট তৈরি হয়েছে।
সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে আমাদের জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’
লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘বেশি ঐক্যেরও দরকার নেই। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যেটা সেটা হলো জাতীয় স্বার্থে অনৈক্য যাতে না হয়।’
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল হবে, সেনাবাহিনীসহ যত বাহিনী আছে সব বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবে এবং সেখানে দেশের বুদ্ধিজীবীসহ অন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন।’
কৃষক শ্রমিক লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমার বোন আপনাকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি আপনি অনতিবিলম্বে জামায়াতে ইসলাম ও গণবাহিনীর ইনুকে ছাড়া সব রাজনৈতিক দল নিয়ে একটি কনভেনশন আয়োজন করুন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘জঙ্গিবাদ সমস্যা হয়েছে দেখে আপনাদের সকল কুকর্ম, কুশাসন, দেশবিরোধী চুক্তি কোনো কিছুর বিরুদ্ধে কথা না বলে সারাক্ষণ কেবল জঙ্গি দমন কর এ কথা বলতে হবে?
সভায় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘এমন কোনো শর্ট টার্ম পদক্ষেপ যেন গ্রহণ না করি যেটা আমার সমস্যাটাকে দীর্ঘায়িত করে।’