শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে এখনো বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখনো লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর সদর, জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলার ৩০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। জেলার দেড় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। অন্তত ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আটটি উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার থেকে একযোগে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সদর, জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার সবকটি বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। নগদ সাত লাখ টাকা, পাঁচ লাখ টাকার শুকনো খাবার এবং ২২৫ মেট্রিক টর চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
জাজিরা উপজেলার কলমিরচর মকবুল খালাশী কান্দির মর্জিনা বেগম (৫৫) বলেন, ‘ঘরের মাচার নিচ দিয়ে কলকলিয়ে পানির স্রোত বয়ে যায়। রাতে ঘুমাতে গেলে ভয় লাগে। এই বুঝি আমাগোরে ভাসাইয়া লইয়া গেল।’
জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, আমরা প্রতিদিনই বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি। জেলার বন্যা দুর্গতদের মাঝে নগদ টাকা, শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে নদী ভাঙন ও বন্যার্ত ৮০০ পরিবারের মধ্যে এ ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। আরো ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। সহায়তা থেকে কেউ বাদ পড়লে তালিকা প্রস্তুত করে তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।