সেই হাতি উদ্ধারে বন্যার পানি কমার অপেক্ষা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/08/06/photo-1470488117.jpg)
ভারত থেকে বন্যার পানিতে ভেসে আসা সেই হাতি উদ্ধারে দুই দিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞদল। কিন্তু বন্যার পানি না কমলে হাতিটি উদ্ধার সহজ হবে না বলে জানায় দলটি। গত বৃহস্পতিবার হাতিটি উদ্ধার করতে ভারত থেকে জামালপুর আসেন তাঁরা।
আজ শনিবার দুপুরে সরিষাবাড়ীর মাদারগঞ্জের শ্যামগঞ্জ কালীবাড়ী হয়ে হাতিটি দুধিয়াগাছা এলাকার চরাঞ্চলে অবস্থান করছে। ভারতীয় ও বাংলাদেশের যৌথ বিশেষজ্ঞদল হাতিটিকে অনুসরণ করছে।
ভারতীয় বিশেষজ্ঞদলের সদস্য বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও বন্য প্রাণী চিকিৎসক কে কে শর্মা জানান, বন্যার কারণে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে পানি থাকায় চেতনানাশক দিয়ে হাতি উদ্ধার করা ঝুঁকিপূর্ণ। হাতিটি পানি থেকে ডাঙায় উঠতে পারছে না। তা ছাড়া চরাঞ্চলে ট্রাক ও ক্রেন ব্যবহারও সম্ভব নয়। বন্যার পানি কমলে হাতিটিকে ডাঙায় সুবিধাজনক স্থানে পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে উদ্ধার সহজ হবে।
এ ছাড়া অন্য একটি পোষা হাতি দিয়ে ওই হাতিটিকে ডাঙায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান কে কে শর্মা।
বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞদলের সদস্য নেচার কনজারভেটিভ সোসাইটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক ড. তপন কুমার দে জানান, দলছুট হাতিটি পুরুষ। সে অনেকটাই শান্ত স্বভাবের। তারপরও দীর্ঘদিন পানিতে থাকায় ঠিকমতো খাবার না পেয়ে সে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনি হাতিটিকে বিরক্ত না করে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।
গত ২৭ জুন প্রথম দফা বন্যার সময় পানির তোড়ে ভারতীয় বন্য হাতিটি বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এর পর থেকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও জামালপুরের চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাতিটি উদ্ধারে গত ৪ আগস্ট ভারতীয় একটি বিশেষজ্ঞদল জামালপুর আসেন।
দলের সদস্যরা হলেন আসাম রাজ্যের সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ড. রিতেশ ভট্টাচার্য, আসামের বন বিভাগের ভেটেরিনারি সার্জন ও বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ ডা. কে কে শর্মা ও আসামের বন কর্মকর্তা সোলেমান উদ্দিন চৌধুরী।