মিরসরাইয়ে হচ্ছে আরেকটি বন্দর

চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকায় একটি মধ্যম আকারের বন্দর নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। দেশের ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে তিনটির অবস্থান চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে হওয়ায় এই নতুন বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল।
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বন্দর চেয়ারম্যান।
খালেদ ইকবাল বলেন, ‘ফেনী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক জোনকে বিশেষভাবে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আমাদের সরকার থেকে একটা ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছিল যে, ওখানে কোনো পোর্ট বানানো সম্ভব কি না। আমরা আমাদের প্রাক-সম্ভাব্যতা কমপ্লিট করেছি অর্থাৎ প্রি-ফিজিবিলিটি কমপ্লিট করেছি। মিরসরাই-সীতাকুণ্ডের ওখানে আমাদের হিসেবে একটি মধ্যম আকারের একটি পোর্ট করার জন্য চিন্তাভাবনা করছি। প্রাক-সম্ভাব্যতা থেকে মনে হচ্ছে এটা করা সম্ভব হবে। আমাদের কিছু ড্রেজিং লাগবে। পায়রা বন্দরে যেমন ড্রেজিং করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজের অবস্থা স্বাভাবিক উল্লেখ করে খালেদ ইকবাল বলেন, ড্রাইডক জেটিতে জরুরি ভিত্তিতে জাহাজের বার্থিং দেওয়া হচ্ছে। কনটেইনার কার্গো ছাড়া দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বিঘ্নিত না করতে বাল্ক কার্গো, স্টিল কার্গো, খাদ্যশস্য, তুলা, সিমেন্ট ক্লিংকারসহ শিল্পভিত্তিক পণ্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে বলেও জানান বন্দর চেয়ারম্যান।
এ ছাড়া কর্ণফুলী কনটেইনার টার্মিনালের কাজ শুরুর জন্য চূড়ান্ত সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে বলেও জানান খালেদ ইকবাল।
গত ১০ বছরে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের জন্য গ্যান্টিক্রেন কেনা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান শিগগিরই বেশ কয়েকটি শিপ টু শোর গ্যান্টিক্রেন কেনা হবে। সেই সঙ্গে বন্দরের পুরাতন জেটিগুলো মেরামত ও নবায়ন ছাড়াও পুরাতন ক্রেনগুলো প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম, কমোডর শাহীনুর রহমান বক্তব্য দেন।