জঙ্গিবাদ, মানবপাচার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

জঙ্গিবাদ, মানবপাচার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মাধ্যমে উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখা এবং শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনে ত্রিপক্ষীয় সাউথ-সাউথ ও সহযোগিতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন অব্যাহত রাখা, শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জন, জঙ্গিবাদ, মানবপাচার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সাউথ-সাউথ ও ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ আছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় চলমান এশিয়ান আফ্রিকান সম্মেলনের আজ বুধবার দ্বিতীয় প্লিনারি সেশনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সম্মেলনে যোগ দেওয়া উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে তিনদিনের সফরে ইন্দোনেশিয়া আছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো টেকসই শান্তি ও নিরাপত্তা। পরিবর্তনশীল স্থানীয় ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থীদের কারণে উন্নয়ন এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে প্রতিনিয়তই বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোর উন্নয়নের জন্য জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, লক্ষণীয় উন্নয়ন সত্তেও বিশ্বের ২২০ কোটি মানুষ আজও দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। ৮০ কোটি মানুষ এখনো খাদ্যাভাবে থাকে এবং ২০ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে সব ধরনের জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থীদের রুখতে তাঁর সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, জঙ্গিদের কোনো ধর্ম বা জাতিসত্তা নেই। দেশে কোনো একক বা সংঘবদ্ধ জঙ্গিবাদ কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। শেখ হাসিনা বলেন, এখনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রুখতে তাঁর সরকার সব সময় সজাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং বিচার থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করতে সরকার একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনেছে।
এশিয়া আফ্রিকা সম্মেলনে আরো অংশ নিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ত্রুং তান সাং, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ থেইন সেইন, জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে, জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহ ইবনে আল হোসেন, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ড. রামি হামদুল্লাহ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেসহ আরো অনেক দেশের সরকারপ্রধানরা।
এর আগে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আহমদ বিন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়।