এখনো শান্ত হয়নি বঙ্গ বাহাদুর
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/08/13/photo-1471096256.jpg)
এখনো শান্ত হয়নি উদ্ধার হওয়া বন্য হাতি বঙ্গ বাহাদুর। আজ শনিবার সারাদিন দড়ি ছিঁড়ে সে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বনকর্মীদের।
উদ্ধার হওয়ার পর থেকে একটি বড় আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে বঙ্গ বাহাদুরকে। পেছনের দুই পায়ে লম্বা শেকল ও সামনের দুই পায়ে মোটা দড়ি দিয়ে একটি আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল। শেকল ও দড়ি অনেকটা লম্বা রাখা হয়েছে যাতে হাতিটি নির্দিষ্ট এলাকায় চলাফেরা করতে পারে। এ অবস্থায় এটিকে খাবার হিসেবে কলা, গুড়, আখ ও কলাগাছ দেওয়া হচ্ছে।
বন বিভাগের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাঈদ হোসেন জানান, হাতিটি এখন অনেকটা সবল হয়ে উঠেছে। আজ সকাল থেকে হাতিটি অস্থির হয়ে ওঠে। বারবার অস্থির হয়ে সে ছোটাছুটি করছিল। একপর্যায়ে সামনের পায়ের দড়ি ছিড়ে পাশের একটি জলাশয়ে নেমে পড়ে। তবে পেছনের পায়ে এখনো শেকল পরানো আছে। বিকেল সাড়ে ৩টায় হাতিটি ডাঙ্গায় উঠে আসে। এখন হাতিটি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হাতিটিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর চেষ্টা চলছে।
এদিকে শনিবার প্রধান বন সংরক্ষক অসিত রঞ্জন পাল সরিষাবাড়ী এসেছেন। তিনি উদ্ধারকারী টিমের সঙ্গে বৈঠক করে হাতিটিকে কীভাবে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নেওয়া যাবে সে ব্যাপারে পরামর্শ করছেন।
অসিত রঞ্জন পাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন হাতিটি যেখানে রয়েছে, সেখান থেকে মূল সড়ক প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। এই এক কিলোমিটার কর্দমাক্ত থাকায় মূল সড়কে হাতিটিকে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা অনুকূল পরিবেশ পেলেই যত দ্রুত সম্ভব হাতিটিকে সাফারি পার্কে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
এদিকে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে দুটি পোষা হাতি আসার কথা থাকলেও আজ বিকেল পর্যন্ত সেগুলো এসে পৌঁছায়নি।
প্রথম দফা বন্যার শুরুতে ভারতীয় দলছুট বন্য হাতিটি বন্যার পানির সঙ্গে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। প্রায় দেড় মাস ধরে এটি জামালপুর, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। হাতিটিকে উদ্ধার করতে গত ৪ আগস্ট ভারতের একটি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু তিনদিন চেষ্টার পর ৮ আগস্ট দেশে ফিরে যান তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের কয়ড়া এলাকায় দূরনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সাহায্যে হাতিটিকে চেতনানাশক ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর হাতিটি চেতনা হারিয়ে একটি ডোবায় পড়ে যায়। পরে বন কর্মকর্তারা দড়ি বেঁধে সেখান থেকে হাতিটিকে ডাঙ্গায় তোলেন।