পুরো মন্ত্রণালয়কে দায়ী করিনি : নাছির

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ঘুষ চাওয়ার যে অভিযোগ এনেছেন সেটাকে ‘অন্যভাবে’ নেওয়ার সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
আজ শনিবার মেয়র বলেন, ‘ব্যক্তির জন্য তো পুরো প্রশাসনকে দায়ী করা যাবে না। ব্যক্তির জন্য তো পুরো প্রশাসনকে অভিযুক্ত করা যাবে না। আমি তো পুরো মন্ত্রণালয়কে দায়ী করিনি। যাঁরা পুরো মন্ত্রণালয়ের বিষয়টি এনেছেন, তাঁরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে সেটি এনেছেন।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠায় জীবন দিয়ে প্রত্যাশা পূরণ করার কথা জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র।
বন্দরনগরীকে গ্রিন ও ক্লিন সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চট্টগ্রাম শিল্প ও বণিক সমিতির উদ্যোগে রিকশাভ্যান প্রদান অনুষ্ঠানে আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
গত বুধবার একটি অনুষ্ঠানে মেয়র সিটি করপোরেশনের বরাদ্দের জন্য পাঁচ ভাগ ঘুষের অভিযোগ আনেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সেখানে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ঘুষ না দেওয়ায় বন্দরনগরীর জন্য কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মেয়রের এই বক্তব্যের পর সারা দেশেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পর দিন মেয়রের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ জন্য মেয়রকে সাতদিন সময় দেওয়া হয়।
এই অবস্থার মধ্যেই আজ মেয়র এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘এখানে বিষয়টা হলো, আমি যখন একাডেমিক আলোচনা করব, তখন অনেক ধরনের কথা আসবে। আমি তো কারো বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিইনি। আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ তো করিনি, বক্তব্য দিয়েছি।’
নিজে তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে এসেছেন উল্লেখ করে মেয়র আরো বলেন, ‘আমাকে কেউ যদি বলে আপনি তো পারছেন না। আমি তো বলব, আমি এই কারণে পারছি না। সময় লাগছে এ কারণে। আমার এখানে দুটো বিষয়। আমি সরকারের পার্ট। সরকারি দল করি। এখানে দুনীর্তিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণে জীবন দিতেও আমি রাজি।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘ডোর টু ডোর’ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে সিটি করপোরেশনকে প্রাথমিকভাবে ১০টি রিকশাভ্যান দেওয়া হয়।
মেয়র এ কাজে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি আগামী তিন বছরের মধ্যে দুর্গন্ধমুক্ত পরিবেশবান্ধব গ্রিন সিটি নির্মাণে সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এ সময় স্থানীয় সাংসদ এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম, সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী, মাহফুজুল হক শাহ, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), মো. জাহেদুল হক ও মো. আরিফ ইফতেখার, সিসিসি কাউন্সিল মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ হাবিবুল হক ও আবদুল কাদের এবং করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।