হিমাদ্রী হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত কুকুর লেলিয়ে দিয়ে হিমাদ্রী মজুমদার হিমু হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুই দফা রায় পেছানোর পর চট্টগ্রামের চতুর্থ মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম আজ রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে হিমুর পরিবার খুশি হলেও বাদীর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করেবেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন—নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ব্যবসায়ী শাহ সেলিম টিপু, তাঁর ছেলে জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং তাঁর তিন বন্ধু শাহাদাত হোসেন সাজু, মাহাবুব আলী ড্যানি ও জাহিদুল ইসলাম শাওন। এর মধ্যে জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ ও জাহিদুল ইসলাম শাওন পলাতক।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার একটি বাড়ির চারতলায় হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নির্যাতনের পর হিমুকে বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দেয় অভিজাত শ্রেণির কয়েকজন বখাটে যুবক। ২৬ দিন পর ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান হিমু। তিনি পাঁচলাইশ সামারফিল্ড গ্রামার স্কুলের এ-লেভেলের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত হিমুর মামা।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অনুপম চক্রবর্তী জানান, হিংস্র পাঁচটি কুকুর লেলিয়ে দিয়ে হিমুকে নির্যাতন করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে হিমুর দেওয়া জবানবন্দি আদালত বিবেচনায় নিয়েছেন। এ ছাড়া শুনানিকালে ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে আদালত আজ পাঁচ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
পিপি অনুপম চক্রবর্তী জানান, এই রায়ের সাত দিনের মধ্যে আসামিদের উচ্চ আদালতে আপিল করতে হবে। অন্যথায় ফাঁসির আদেশ কার্যকর হবে। এ ছাড়া আদালত বলেছেন, পলাতক বাকি দুই আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর হবে।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন হিমুর বাবা প্রবীর মজুমদার।