জুলিয়েট ও পিলপিলের ঘরে ৪৭ অতিথি

সুন্দরবনের করমজল কুমির প্রজননকেন্দ্রের কুমির জুলিয়েট ও পিলপিলের ফোটানো ডিম থেকে ৪৭টি বাচ্চার জন্ম হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে এসব বাচ্চার জন্ম হয়। বাচ্চাগুলোকে ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখার পর আগামীকাল সোমবার কেন্দ্রের লালন-পালন ‘প্যানে’ ছেড়ে দেওয়া হবে।
করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রের কুমির রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মচারী মো. জাকির হোসেন জানান, কুমির জুলিয়েট ও পিলপিল গত ২০ মে প্রজননকেন্দ্রের পুকুরপাড়ে যথাক্রমে ৫০ ও ৪৮টি ডিম দেয়। পুকুরপাড় থেকে ডিমগুলো সংগ্রহ করে টানা ৮৩ দিন কেন্দ্রের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখার পর এসব ডিম ফুটে রোববার সকালে ৪৭টি বাচ্চা বের হয়। ভ্রূণের মৃত্যু ও অনিষিক্ত হওয়ার কারণে এবার ৫১টি ডিম নষ্ট হয়ে যায়।
বিলুপ্তপ্রায় লবণপানি প্রজাতির কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও লালন-পালনের জন্য ২০০২ সালে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ টাকা অর্থায়নে আট একর জায়গার ওপর বন বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় দেশের একমাত্র সরকারি এ কুমির প্রজননকেন্দ্র। এরপর ২০০৫ সালে রোমিও ও জুলিয়েট নামক দুটি কুমির দিয়ে এ কেন্দ্রের প্রজনন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ছোট ও বড় মিলিয়ে কেন্দ্রে মোট কুমিরের সংখ্যা ২৭৮টি। এ ছাড়া বিগত বছরগুলোতে এখান থেকে নিয়ে শতাধিক কুমির বনের বিভিন্ন নদী-খালে অবমুক্ত করা হয়েছে। ২০০৯ সালে আইলার জলোচ্ছ্বাসে এ কেন্দ্র থেকে ৬১টি কুমির ভেসে যায়।