মেহেরপুরে দুদকের মামলায় জামিন পেলেন দুই সাব-রেজিস্ট্রার

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় মেহেরপুর সদর উপজেলার রেজিস্ট্রি অফিসের দুই সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রশিদ মণ্ডল ও শাহিদুর রহমানকে জামিন দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল হাসান এ আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া দুই সাব-রেজিস্ট্রার হলেন ঝিনাইদহ উপজেলার মহেষপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার শাহিদুর রহমান ও নড়াউল সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রশিদ মণ্ডল। তাঁরা দুজনই এর আগে মেহেরপুর সদর উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলাধীন বিভিন্ন মৌজার সরকারি খাস জমি ১৮ জন ভূমিহীনের নামে বন্দোবস্ত করার জন্য দলিলের রেজিস্ট্রেশন কাজে জালিয়াতি করা হয়েছে। ওই দলিলগুলো হস্তলিপিবিশারদ দিয়ে দাতার স্বাক্ষর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। এ জন্য দলিলগুলো সদর সাব-রেজিস্ট্রার মেহেরপুরের হেফাজতে থাকায় ওই দলিলগুলো জব্দ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য বারবার সাব-রেজিস্ট্রার সদর বরাবর চিঠি পাঠানো হয়।
কিন্তু অভিযুক্ত দুই সাব-রেজিস্ট্রার দলিলগুলো সরবরাহ না করে তদন্তকাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ১৯(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ অপরাধে সাব-রেজিস্ট্রার দুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশন বিভাগীয় কার্যালয় খুলনার স্মারকে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল গাফফারকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে গত ১৬ আগস্ট নিয়োগ করা হয়।
ওই তদন্তকাজে গত রোববার সকালে দুদকের কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রশিদ মণ্ডল ও সাব-রেজিস্ট্রার শাহিদুর রহমান হাজিরা দিতে গেলে তাঁদের আটক করা হয়। পরে দুপুরে দুদকের কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল গাফফার বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা দিয়ে তাঁদের হস্তান্তর করেন।
পরে কোর্ট পরিদর্শকের মাধ্যমে ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে মেহেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. মহিরুজ্জামান তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলায় সরকারপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামিদের পক্ষে মিয়াজান আলী ও মিনা পাল কৌঁসুলির দায়িত্ব পালন করেন।