গাজীপুরে জেএমবির নারী শাখার প্রশিক্ষকসহ আটক ৫

গাজীপুরে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নারী শাখার প্রশিক্ষক ও দক্ষিণাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আমির রাশেদুজ্জামান রোজসহ পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে র্যাব-১-এর পক্ষ থেকে পাঠানো এক খুদেবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। পরে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
গাজীপুরের টঙ্গী ও হাজিরপুকুর এলাকা থেকে এই পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাঁরা হলেন জেএমবির নারী দলের প্রশিক্ষক ও দক্ষিণাঞ্চলের আমির রাশেদুজ্জামান রোজ, আহলে হাদিসের নেতা আবদুল হাই, সাইদুল ইসলাম, ফিরোজ আহমেদ ও সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আমির রাশেদুজ্জামান রোজসহ তিন জেএমবি সদস্যকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে, গাজীপুরের হাজিরপুকুর এলাকায় একটি মসজিদের মার্কেটের দুটি দোকানে আজ ভোর ৫টার দিকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুটি দোকান থেকে আরো দুই জেএমবি সদস্যকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি হাতবোমা, দুটি পিস্তল, ১০টি গুলি, গান পাউডার, বিস্ফোরক, চাকু, চাপাতি, ধর্মীয় বই, কম্পিটউটার ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর ছিল বাইরে থেকেও কয়েকজন প্রশিক্ষিত সদস্য, তারা ঢাকাতে অবস্থান করবে। তথ্য ছিল, এখানে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আছে, তাদের কিছু সদস্য আছে। সেখানে তারা আসবে এবং এখানে বিস্ফোরক ও অন্যান্য যে দ্রব্যসামগ্রী আছে, যেগুলো মূলত এখানে হস্তান্তর এবং গ্রহণ করা হয়, সেগুলোর ভিত্তিতে মূলত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।’
‘আজ (মঙ্গলবার) রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে দুজন আসার কথা ছিল। আবদুল হাই ও রাশেদুজ্জামান রোজ এবং সাহাবুদ্দিন, তার পাবনা থেকে আসার কথা ছিল। তাদের টঙ্গী থেকে আটক করা হয়েছে।’
মুফতি মাহমুদ খান আরো বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তারা যেসব তথ্য জানিয়েছে সেগুলো হলো—রাশেদুজ্জামান রোজ, মূলত যখন মাহমুদুল হাসানের (জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আমির মাহমুদুল হাসান ওরফে তানভীর (২৭), ২২ আগস্ট তাঁকে আটক করা হয়) সঙ্গে একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যখন সে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। মাহমুদুল হাসান যখন র্যাব কর্তৃক আটক হয়, তখন সে দক্ষিণ অঞ্চলের আমির হিসেবে নিজেই দায়িত্বভার গ্রহণ করে এবং এই যে মহিলা, যারে ধরা হয়েছিল, জঙ্গির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল, তারা মূলত তাদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল। বিভিন্ন সময় তাদের মোটিভেট করা এবং প্রশিক্ষণ সামগ্রী দেওয়া এবং আর্থিক লেনদেনের যে বিষয়টি ছিল, সে ওতপ্রোতভাবে এর সঙ্গে জড়িত ছিল।’