শরীয়তপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিপেটা

অধ্যক্ষের অপসারণসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও ক্লাস বর্জন করেছেন শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। বিক্ষোভের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কটিতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
শিক্ষার্থীরা সড়ক দখল করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকলে একপর্যায়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউটের পেছনের দেয়াল টপকে বিলের ভেতর দিয়ে হাঁটুপানি পেরিয়ে পাশের গ্রামে আশ্রয় নেয়। এ সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় সোহেল (১৭), সোহাগ সাগর (২০), আকাশ আহম্মেদ (১৯), মোস্তাফিজ (২২), রিয়াজ হোসেন (১৯), সোহেল মাহমুদসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অধ্যক্ষকের অপসারণসহ শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-প্রশাসনিক ভবন ছেড়ে দিয়ে অধ্যক্ষের নিজের বাসভবনে ফিরে যাওয়া, কলেজে ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা, ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছাত্রীনিবাস নির্মাণ, কলেজের নির্দিষ্ট পোশাক, ক্যান্টিন চালু করা, মেডিকেল সুবিধা চালু করা, সকল বিভাগের ল্যাবের অকেজো যন্ত্রপাতি পরিবর্তন করে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন, শৌচাগার ব্যবহার উপযোগী করা, শৌচাগার ও কলেজের কক্ষ পরিষ্কার করা।
এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর খানের দাবি, অপসারিত হওয়ার দাবি ওঠার মতো কোনো অন্যায় তিনি করেননি। কিছু শিক্ষক ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের ইন্ধনের কারণে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন করছেন। শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া হয়ে গেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার কথা অস্বীকার করেন শরীয়তপুরের সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর হায়দার শাওন। তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা সড়ক দখল করে বিক্ষোভ করায় মৃদু লাঠিপেটা করা হয়েছে।