বাগেরহাটে দুই মামলায় দুই ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ

বাগেরহাটে পৃথক দুই হত্যা মামলায় দুই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফজলুল হক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের পৃথক আদালত এই দণ্ডাদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন জেলার মোল্লাহাট উপজেলার তুহিন কাজী (৩৮) ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঢেউয়াতলা গ্রামের ভবসিন্ধু বৈরাগী। ভবসিন্ধু বৈরাগীর অনুপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়। তবে তুহিন কাজী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাবা আবু সাঈদ কাজীকে হত্যার দায়ে ছেলে তুহিন কাজীকে এবং আপন ভাই অখিল বৈরাগীকে হত্যার দায়ে ভবসিদ্ধুকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ আলী মামলার বরাত দিয়ে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট ভোররাতে ছেলে তুহিন কাজী তাঁর বাবা আবু সাঈদ কাজীকে ঘুমে থাকা অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় নিহতের মেয়ে সুমী আক্তার তাঁর ভাই তুহিন কাজীকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) তুহিন মণ্ডল তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আসামি তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত তুহিনকে ফাঁসি এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
অন্য মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সীতা রানী দেবনাথ মামলার বরাত দিয়ে জানান, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঢেউয়াতলা গ্রামের ভবসিন্ধু বৈরাগীর সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই অখিল বৈরাগীর (১৮) পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে ২০০৮ সালের ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অখিল তাঁর মাছের ঘেরে কাজ করার সময় আকস্মিকভাবে তাঁর বড় ভাই ভবসিন্ধু ও তাঁর স্ত্রী আঁখি সেখানে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অখিলকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এই ঘটনার পরের দিন নিহতের চাচাতো ভাই গুরুদাস বৈরাগী বাদী হয়ে ভবসিন্ধু ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আলী তদন্ত শেষে নিহতের বড় ভাই ও ভাবি আঁখির বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ভবসিন্ধুকে ফাঁসি এবং তাঁর স্ত্রীকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারক ভবসিন্ধুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ কে আজাদ ফিরোজ টিপু।