অ্যামোনিয়া ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে দুই কর্মকর্তা দায়ী

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ড্যাপ) কারখানায় ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণের জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী ও মহাব্যবস্থাপককে দায়ী করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। একই সঙ্গে দুজনকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এ সময় তদন্ত কমিটির প্রধান মুমিনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
গত ২২ আগস্ট আনোয়ারার ডিএপি সার কারখানায় অ্যামোনিয়া ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণের পর জেলা প্রশাসক তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
ঘটনার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে পাঁচ ধরনের সুরক্ষা যন্ত্রের মধ্যে সব যন্ত্র অকেজো ছিল বলে প্রমাণিত হয়। ট্যাঙ্কের তাপমাত্রা কমানোর জন্য ট্যাঙ্কের কুলিং কম্প্রেসার সিস্টেম তিন বছর ধরে নষ্ট। ট্যাঙ্কে রক্ষিত গ্যাসের চাপ মাপার দুটি প্রেশার গজও অকেজো। দুটি প্রেশার ট্রান্সমিটারের একটি আগে থেকে ও আরেকটি ঘটনার একদিন আগে নষ্ট হয়ে যায়। ট্যাঙ্কের অতিরিক্ত গ্যাস চাপ মাপার যন্ত্র প্রেশার ভেন্ট দুর্ঘটনার সময় বন্ধ ও একটি ফ্লেয়ার সিস্টেম দুর্ঘটনার সময় অকেজো ছিল বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে।
এ ছাড়া দুর্ঘটনার জন্য কারখানার অপারেশন, মেইনটেন্যান্স, প্রশাসন, সিভিল, অ্যাকাউন্টস বিভাগের সমন্বয়ের অভাব, কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও অবহেলা এবং প্রধান প্রকৌশলী দিলীপ কুমার বড়ুয়া ও মহাব্যবস্থাপক নকিবুল ইসলামকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। তদন্ত কমিটি তাদের প্রত্যাহার ও বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করে।
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণের ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া অ্যামোনিয়া গ্যাস আশপাশের জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ায় মাছ মরে ভেসে ওঠে, গাছের রং সবুজ থেকে ফ্যাকাসে হয়ে যায়।