নেপালে ত্রাণ পাঠাতে ব্যবহৃত হবে চার বিমানবন্দর

নেপালে ত্রাণসামগ্রী পাঠাতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এবং দেশের চার বিমান বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এ জন্য চার বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘টেকসই উন্নয়নে টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শেখ হাসিনা।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) ও ম্যানিলাভিত্তিক কলম্বো প্ল্যান স্টাফ কলেজ (সিপিএসসি) যৌথভাবে তিনদিনের এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এরই মধ্যে নেপালে কিছু ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে, যা পর্যাপ্ত নয়। তাঁদের জন্য আরো ত্রাণসামগ্রী পাঠাতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা যাতে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে ত্রাণসামগ্রী পরিবহন করতে পারে, সে জন্য এরই মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানন্দর, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর, সিলেট বিমানবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে ত্রাণসামগ্রী পরিবহনে সহায়তা করতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বিল্ডিং কোড মেনে ভূমিকম্প সহনশীল স্থাপনা নির্মাণ করতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশেও এই যে ভূমিকম্পের কিছুটা ঝাঁকুনি আমরা যে পেয়েছি, তাতে অনেকগুলো ভবনে ফাটল ধরেছে। যেহেতু এটা ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা, এখানে যেন ভূমিকম্প সহনশীল স্থাপনা গড়ে ওঠে। যদিও আমরা একেবারে মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং করে ফেলছি, কিন্তু সবাই এই বিল্ডিং কোড সব সময় মেনে চলেন না। যেগুলো এভাবে তৈরি হবে, সেগুলো যেন বিল্ডিং কোড মেনে চলে এবং ভূমিকম্প সহনশীল বিল্ডিং তৈরি হয়, সে বিষয়ে আপনারা বিশেষভাবে নজর দেবেন।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এতে সভাপতিত্ব করেন সম্মেলনের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ ও কো-চেয়ারম্যান ছিলেন সিপিএসসির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ নাইন ইয়াকুব।