নরসিংদীতে ছিনতাইকারীর গুলিতে গ্রামীণফোনের বিক্রয়কর্মী নিহত

নরসিংদীতে ছিনতাইকারীদের গুলিতে গ্রামীণফোনের বিক্রয়কর্মী রাসেল সরকার (২৬) নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলার শিবপুর উপজেলার খৈনকুট এলাকায় ছিনতাইকারীদের গুলিতে আহত হন রাসেল। ওই সময় তাঁর কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা ও মুঠোফোনের সেট লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।
নিহত রাসেল সরকার নরসিংদী শহরের বীরপুর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, গ্রামীণফোনের বিক্রয়কর্মী রাসেল সরকার প্রতিদিনের মতো আজও শিবপুর উপজেলার চাঁদপাশা বাজারের বিভিন্ন মুঠোফোন দোকানদারের কাছে ফ্লেক্সিলোড ও সিম বিক্রি করেন। তিনি প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়ে ওই বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদপাশা বাজারে পৌঁছার আগে শিবপুরের খৈনকুট নামক স্থানে ছিনতাইকারীর গুলিতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। ওই সময় তিনজনের ছিনতাইকারী দলটি তাঁর সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যাওয়ার পর আশপাশের লোকজন গুলিবিদ্ধ রাসেল সরকারকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে রাসেল সরকারের মৃত্যুর সংবাদে শোকের ছায়া নেমে আসে বীরপুরের বাড়িতে। নিহতের বাবা হানিফ মিয়া বলেন, ‘রাসেল বিবাহিত। তাঁর সাড়ে তিন বছরের একটি মেয়ে আছে। ছিনতাইকারীরা রাসেলকে হত্যা করেনি, সেই সঙ্গে তার স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেছে। এখন তাঁর স্ত্রী-সন্তানের ভবিষ্যৎ কী হবে?’
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাসেল সরকার তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঘটনাটি ছিনতাই না পূর্বশত্রুতার জের, তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না। তবে যাতায়াতের পথ বিশ্লেষণে আমরা নিশ্চিত দুর্বৃত্তরা সবাই নরসিংদী শহরের। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’