আজিমপুরের ঘটনায় মামলা

রাজধানীর আজিমপুরের ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়।
আজ সোমবার লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানান, সিটিটিসির উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসাইন মামলার বাদী। অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া তিন নারী খাদিজা, শারমিন ও শাহেদা আফরিনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহত ‘জঙ্গি’ আবদুল করিম ওরফে শামসেদ হোসেন ও ১২ বছরের এক ছেলেকেও আসামি করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর আজিমপুরে বিডিআর ২ নম্বর গেটের পাশে পিলখানা রোডের ২০৯/৫ নম্বর বাড়িতে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান শেষে ওই বাড়ি থেকে শমসেদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ১২ বছরের এক ছেলেশিশু এবং আরো দুটি মেয়েশিশুকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। তারা এখন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আছে।
পুলিশ দাবি করেছে, সন্ত্রাসীদের হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত এবং সন্দেহভাজন তিন নারী জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শমসেদ রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা এলাকার মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে।
সেদিন অভিযানের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গুলশান ঘটনার জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা হিসেবে আবদুল করিম নামের যাকে পুলিশ খুঁজছিল, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সঙ্গে এই করিমের চেহারার বেশ মিল রয়েছে।