কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পিন্টুর মৃত্যু : বিএনপি

বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন অভিযোগ করেছেন, কারা কর্তৃপক্ষের চিকিৎসায় অবহেলার কারণেই বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুর মৃত্যু হয়েছে।
urgentPhoto
আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পিন্টুর পরিবার থেকে এবং পিন্টুর আইনজীবী আমিরুল ইসলাম থেকে আমরা যা জানতে পেরেছি হৃদরোগের বিশেষজ্ঞকে চিকিৎসা প্রদানের সুযোগই দেওয়া হয়নি। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার আগেই পিন্টুর মৃত্যু ঘটেছে। জেল কর্তৃপক্ষ পিন্টুকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। এর কারণেই পিন্টু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।’
আগামীকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নাসিরউদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পিন্টুর মৃত্যুতে সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে আগামীকাল কালো পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
এদিকে পিন্টুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আজিমপুর কবরস্থানে পিন্টুকে দাফন করা হবে।
আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টায় রাজশাহীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান পিন্টু। এ সময় তিনি রাজশাহী কারাগারে ছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুকে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন নিম্ন আদালত। এই মামলায় ছয় বছরেরও বেশি সময় তিনি কারাগারে আটক ছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর করা আপিল হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে। গত ২০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে পিন্টুকে রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ বিএনপির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন পিন্টু।