প্রশাসনের সহায়তা পেল টাম্পাকোয় হতাহতরা

টঙ্গীতে টাম্পাকো ফয়েলস কারখানার হতাহত শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। আজ সোমবার বিকেলে তাদের এ সহায়তা দেওয়া হয়।
এ ছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ১১ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ২০ জনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহত ২৫ জনকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
এ সময় ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ছাড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, এনডিসি মামুন শিবলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সহায়তার সময় জেলা প্রশাসক এস এম আলম বলেন, ‘আমরা এখনো উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। একটা লাশ বাকি থাকা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলবে। আরো যদি মৃতদেহ পাওয়া যায় তাদের স্বজনদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। তা ছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে।’
এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছয়টি মৃতদেহ আছে। এগুলো এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এ মৃতদেহগুলো ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এদিকে আজ দশম দিনের মতো নিখোঁজদের সন্ধানে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যৌথভাবে ‘ফায়ার ফাইটিং অ্যান্ড রেস্কিউ অপারেশন’ চালিয়েছে।
টঙ্গীতে বিসিক শিল্প এলাকায় বিএনপির সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন টাম্পাকো ফয়েল কারখানায় ১০ সেপ্টেম্বর সকালে গ্যাস সঞ্চালন লাইন বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। এতে প্রতিষ্ঠানটির চারটি ভবনের তিনটি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত ৩৫ ও নিখোঁজ ১১ জন।