পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাবে কোম্পানি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/04/photo-1430726355.jpg)
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আইন, ২০১৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন এবং তা পরিচালনার জন্য একটি কোম্পানি গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এসব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় পাবনার রূপপুরে যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে, তার নিরাপত্তা ও মান বজায় রাখতেই আইনি কাঠামো করা হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় খসড়াটি অনুমোদনের পর মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করে। পরে আলোচনা-পর্যালোচনার পর এটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। খসড়াটি এখন সংসদ পেশ করা হবে।’ তিনি জানান, প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। রাশিয়া দেবে চার হাজার কোটি টাকা, বাকি অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ সরকার।urgentPhoto
সচিব জানান, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শুরু ২০১৩ সালের ১৭ মার্চ। ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে এর কাজ সমাপ্ত হবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মাণ করা হচ্ছে।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানান, এ আইনের অধীনে নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি অব বাংলাদেশ নামে একটি কোম্পানি গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই কোম্পানির চেয়ারম্যান হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং এমডি হবেন বর্তমান প্রকল্প পরিচালক। সরকারি এই কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন হবে এক হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া উপকূলীয় সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল-সংক্রান্ত চুক্তি অনুস্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ভারতের সঙ্গে পাঁচ বছরের উপকূলীয় নৌচুক্তি মেয়াদ শেষে স্বাভাবিকভাবে নবায়ন হবে। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে সম্ভাব্য সফরকালে এ চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে।