শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙনে বিদ্যালয় নদীগর্ভে

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কণ্ডেরচর হাসেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আজ সোমবার সকালে ভবনটি নদীগর্ভে ধসে পড়ে।
শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার সকাল থেকে কুণ্ডেরচর হাসেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি একটু একটু করে নদীতে ভাঙতে থাকে। সোমবার সকালে ভবনটি নদীতে ধসে পড়ে। বিদ্যালয়টিতে ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ভাঙনের কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধছিল।
কুণ্ডেরচর হাসেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলী আকবর বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার ভাঙনে বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেল। আমরা কিছুই করতে পারলাম না।’
স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন পাশের ইয়াকুব মাদবর কান্দি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের নিচ তলায় কুণ্ডেরচর হাসেম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অস্থায়ীভিত্তিতে পাঠদান কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দিয়েছে বলে জানান আলী আকবর।
শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পদ্মা নদীর ভাঙনে বিদ্যালয় ভবন বিলীন হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, নদী ভাঙনে বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শিশুদের সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় সহায়তা নিয়ে বিকল্পভাবে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠদান চালু রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনো বিদ্যালয়েই পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না। নদী ভাঙনের কারণে কোনো শিক্ষার্থী যেন ঝড়ে না পড়ে সে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।