আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার

আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন গাজীপুর ও বিভিন্ন এলাকায় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর শহরের পুবাইল হায়দরাবাদ গ্রামে আহসানউল্লাহ মাস্টারের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, কোরআন তিলাওয়াত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, স্মরণিকা প্রকাশ, আলোচনা ও স্মরণ সভা। একই দিন বিকেলে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ আহসানউল্লাহ মাস্টারের স্মরণে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
১১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে ‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা ও স্মরণসভার আয়োজন করে।
আহসানউল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল তাঁর বাবার ১১তম শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদসহ টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীসহ সকল স্তরের মানুষকে অংশ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশ চলাকালে একদল সন্ত্রাসীর গুলিতে আহসান উল্লাহ মাস্টার নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা মামলার পর ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে রায় দেওয়া হয়। রায়ে ৩০ জন আসামির মধ্যে প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে ফাঁসি, ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রধান আসামিসহ ১৬ জন দেশের বিভিন্ন কারাগারে এবং বাকি ১০ আসামি বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে। এ ছাড়া দুজন কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মামলাটি বর্তমানে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারাধীন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই মতিউর রহমান মতি। মতি বর্তমানে গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক।
আহসানউল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুই দফা পুবাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহ্বায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তিনি গ্রেপ্তার হন ও কারাভোগ করেন। আহসানউল্লাহ মাস্টার জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।