সুনামগঞ্জে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে পুরস্কার বিতরণ

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের প্রাণপুরুষ। বাঙালির নিত্যদিনের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি এখনো দীপ্যমান। বাংলা সাহিত্যের সব শাখাই তাঁর অতুলনীয় সৃষ্টিতে সমৃদ্ধ হয়েছে। ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদাপূর্ণ আসনে উন্নীত করেছেন। তাই রবীন্দ্রনাথের চর্চা বাড়াতে হবে।
সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘স্পন্দন সাংস্কৃতিক পরিবার’-এর ১৫৪তম রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে স্পন্দন আয়োজিত শিশুদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজীয়দের পুরস্কার দেওয়া হয়।
সাংস্কৃতিককর্মী ও শিক্ষিকা শ্রাবন্তী পুরকায়স্থের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্পন্দন সাংস্কৃতিক পরিবারের সভাপতি অ্যাডভোকেট দেবেশ কুমার শর্মা চৌধুরী অঞ্জন, অ্যাডভোকেট অলক ঘোষ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট দেবদাস চৌধুরী রঞ্জন, সাংবাদিক আইনজীবী খলিল রহমান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল, সংস্কৃতিকর্মী দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, মো. রাজু আহমেদ, দ্বীপময় চৌধুরী ডিউক, সোহেল রানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শেখ রফিকুল ইসলাম, দীপায়ন চৌধুরী চয়ন, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রাকিবা ইসলাম ঐশী, অরুনিমা দাশ, আয়মানুল ইসলাম প্রিয়। কবিতা আবৃত্তি করেন ক্রিসেনথিমাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কানিজ সুলতানা, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক শামীম মিয়া, আতিফা ইসলাম সাথী, নাট্যকর্মী প্রদীপ পাল, সামির পল্লব, অমিত বর্মণ, সালেহ আহমদ, সনি চন্দ, তাজকিরা তাজিন, রূপকথা, রাইয়া লেইছ প্রমুখ।