বদলগাছীতে কূপ খনন কাজ আবার শুরু

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের তাজপুর চুনা পাথর খনির বিস্তৃতি ও মজুদ যাচাইয়ে আবারো মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাজপুর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে ভগবানপুর নামক স্থানে নতুন কূপ খনন করার কার্যক্রম শুরু করা হয়। নভেম্বর মাসের শুরুতেই আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খনন শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন জিএসবির কর্মকর্তারা।
জিএসবির কর্মকর্তারা জানান, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে উপজেলার তাজপুরসহ আশেপাশের এলাকায় একটি প্রাথমিক জরিপ চালান জিএসবির গবেষকরা। ওই জরিপে গবেষকরা ভূগর্ভে মূল্যবান খনিজ সম্পদের সন্ধান পান। গবেষকদের প্রাথমিক জরিপের সেই সূত্র ধরে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে তাজপুরে স্তরতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহে প্রথম কূপটি খনন শুরু করা হয়। খননকালে প্রায় দুই হাজার ৭১৪ ফুট নিচে চুনাপাথরের সন্ধান পাওয়া যায়। খনন করা হয় প্রায় দুই হাজার ৮২০ ফুট। এতে চুনাপাথরের পুরুত্ব ধরা পড়ে প্রায় ১০০ ফুট। এ ছাড়া ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী খনির বিস্তৃতি রয়েছে বলে তাঁরা ধারণা করেন।
জিএসবির পরিচালক (বিভাগীয় প্রধান) সিরাজুল ইসলাম খান ভগবানপুর এলাকায় কয়লা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, তাজপুরে আবিষ্কৃত খনিতে রয়েছে উন্নত মানের চুনাপাথর। এটি দেশের সবচেয়ে বড় মজুদ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তবে এই খনি আবিষ্কার হওয়ার পর মজুদ ও বিস্তৃতি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পর্যায়ক্রমে খনি এলাকায় আরো চারটি কূপ খনন করা হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় কূপ খনন হচ্ছে ভগবানপুরে। বেশ কয়েকবার জরিপ চালিয়ে গবেষকরা স্থান নির্ধারণ করেছেন। চুনা পাথরের পাশাপাশি কয়লাসহ অন্যান্য মূলবান খনিজ সম্পদ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ভগবানপুরে নতুন কূপ খননের জন্য জোড়েসোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে জিএসবি।
জিএসবির উপপরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশল) ও কূপ খনন দলের প্রধান মহিরুল ইসলাম জানান, নভেম্বর মাসের শুরুতেই ভগবানপুরে কূপ খনন শুরু করা হবে। খনন করার জন্য অত্যাধুনিক রিগ মেশিন বসানো হবে সেখানে।
মহিরুল ইসলাম জানান, ভগবানপুরে প্রায় তিন হাজার ফুট গভীর করে কুপ খনন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। তবে তাজপুরের তুলনায় সেখানে অপেক্ষাকৃত কম গভীরেই মূল্যবান খনিজ সম্পদ পাওয়া যাবে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।
ভগবানপুরে নতুন কূপ খননের স্থান চিহ্নিত করার সময় জিএসবির পরিচালক সিরাজুল ইসলাম খানের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিএসবির পরিচালক বিভাগীয় প্রধান-২ ফোয়াদুজ্জামান, পরিচালক (প্লানিং) মো. নিজাম উদ্দিন, উপপরিচালক (ভূপদার্থ) কে এইচ এম সাইফুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা।