পাবনার ৪ উপজেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব, নিহত ১

পাবনার চার উপজেলায় কালবৈশাখীতে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ঝড়ের সময়ে বজ্রপাতে নিহত হয়েছে একজন। আজ সোমবার সকালে ঘটা ওই কালবৈশাখীতে চার উপজেলায় ধান, আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সকাল ৬টার দিকে পাবনা সদর, আটঘরিয়া, ফরিদপুর ও বেড়া উপজেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখীর তাণ্ডব বয়ে যায়। মাত্র দুই মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাড়িঘর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঝড়ে উপড়ে ও ভেঙে যায় বিভিন্ন ধরনের গাছপালা।
ঝড়ের সময় বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে বজ্রপাতে মারা গেছেন কৃষক চাদু শেখ। ওই সময় তিনি মাঠে কাজ করছিলেন। কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বজ্রপাতে ও বাড়িঘর এবং গাছের নিচে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন ২০ জন। এঁদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। এঁরা হলেন ফরিদপুর উপজেলার হাসান আলী (৩৫), জয়নব খাতুন (৫০), রফিক উদ্দিন (৪০), আলম হোসেন (২০) ও সদর উপজেলার চামেলী খাতুন (২৫)।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ে ও বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফরিদপুর উপজেলার দেওভোগ, সাভার, খলিসাদহ, বুলদহ, টিয়েরপাড়া, কাশিপুর ও খাগরবাড়িয়া, পাচুরিয়াবাড়ি, সদর উপজেলার গয়েশপুর, হামিদপুর, জোয়ারদহ, চক উগ্রগড়, জয়কৃষ্ণপুর ও মৌগ্রাম, আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা, ধলেশ্বর, উত্তরচক, মতিগাছা, পাটেশ্বর, কয়রাবাড়ি, চৌকিবাড়ী, গোপালপুর, ত্রিমোহন, একদন্ত, পরানপুর ও হিদাশকোল।
ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
আটঘরিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সকাল ৬টার দিকে প্রচণ্ড বেগে ঝড় বয়ে যায়। এতে আটঘরিয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত এবং গাছপালা ভেঙে পড়ে। তার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।’
পাবনার জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেড়া, আটঘরিয়া, ফরিদপুর, সদরসহ সব উপজেলা প্রশাসনকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিরূপণের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।