রাবি ছাত্র লিপুর ঝিনাইদহের বাড়িতে মাতম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোতালেব হোসেন লিপুর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
শুক্রবার দিনভর ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মকিমপুর গ্রামে স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় বাবা বদর উদ্দীন মোল্লা ও মা হোসনে আরা। ছোট বোন লিমার কান্না থামছে না।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, লিপুকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এর বিচার দাবি করেন তাঁরা।
এদিকে, আগামীকাল শনিবার সকালে স্থানীয় আমতলা বাজারে সাধারণ মানুষসহ ছাত্রছাত্রী শিক্ষকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে লিপুর লাশ গ্রামে নেওয়া হয়। সেদিনই রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকসহ কয়েকজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন মোতালেব হোসেন লিপু। পরিবার জানায়, গত পূজার ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। লিপু কখনো কারো সঙ্গে বিবাদে জড়াননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের ২৫৩ কক্ষের থাকতেন লিপু। তিনি গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসি এবং শৈলকুপা ভাটই বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
বাবা বদর উদ্দীন নির্মাণাধীন পদ্মাসেতুর পানি সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত ট্রাকের চালক।
গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লতিফ হলের হলের ডাইনিং হলের পাশে নর্দমা থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করা হয়।