মোংলা বন্দরে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে সিবিএ কার্যালয় বন্ধ

দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে মোংলা বন্দর কর্মচারীদের সম্মিলিত দর কষাকষির এজেন্টের (সিবিএ) কার্যালয় এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ আছে।
সংঘাত এড়াতে পুলিশ ও বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা ওই দুই পক্ষকে সিবিএর কার্যালয়ে প্রবেশ না করার নির্দেশনা দিয়েছে। আর এ নিয়ে বন্দর এলাকায় উত্তোজনা বিরাজ করছে।
আজ বুধবার সকাল ১১টায় সিবিএর নেতারা এক সংবাদ সম্মেলনে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করে।
মোংলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিবিএর সভাপতি মো. সাইজদ্দিন মিয়ার পক্ষে কথিত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম পল্টু বলেন, ‘সিবিএর নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব দখল নিতে প্রতিপক্ষ সম্প্রতি নির্বাহী পরিষদ নামের একটি কমিটি গঠন করে। আর এ কমিটি তাঁদের বিরুদ্ধে নানা রকম অপতৎপরতা চালাচ্ছে।’
খোরশেদ আলম জানান, কথিত নির্বাহী কমিটি বন্দরের কর্মচারীদের সিবিএর নেতৃত্ব দিতে পারে না। এতে কর্মচারীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘মামলা জটিলতার কারণে গত পাঁচ বছর সিবিএর ত্রিবার্ষিক নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। শিগগিরই এ জটিলতা নিরসনসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।
এ সংবাদ সম্মেলনে সিবিএর সহসভাপতি আব্দুল মান্নান মল্লিক, সহসভাপতি মো. হারুন-উর রশিদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম পল্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান শবিক, সহসাধারণ সম্পাদক মো. ফারুকুজ্জামান বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুল ইসলাম রতনসহ পরিষদের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে সিবিএর অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ বর্তমান কথিত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম পল্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি সংগঠনের কোনো সাধারণ সদস্যই নন। এ ক্ষেত্রে তিনি কী করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন?’ তিনি নিজের পরিষদের কথিত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম পল্টুর দায়িত্বে থাকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।