দুর্নীতির মামলায় জিসিসির কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়াকে দুর্নীতির একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার সকালে দুদকের একটি দল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কার্যালয় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে জয়দেবপুর থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকালে তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অভিযান চালিয়ে গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলের ৪৯ লাখ এক হাজার ৮৪৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৩ জুন দুদকের উপপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) মো. সামছুল আলম বাদী হয়ে সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে প্রধান আসামি করে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী মো. গোলাম কিবরিয়াও এজাহারভুক্ত আসামি।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়কালে করপোরেশনের ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলে মোট এক কোটি তিন লাখ আট হাজার ১৩২ টাকা আয় দেখানো হয়। ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলের আয়গুলো কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে নিয়মবহির্ভূতভাবে ‘ক্যাশ ইন হ্যান্ড’ হিসেবে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়ার কাছে সংরক্ষিত রাখেন। এর মধ্যে ৯০ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৬ টাকা খরচ দেখানো হয়। এই খরচের টাকার মধ্য থেকে ৪৯ লাখ এক হাজার ৮৪৮ টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ভুয়া গ্রহীতা দেখিয়ে ৯৯৯টি ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার প্রমাণ পায় দুদক।
জিসিসি মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়া পরস্পর যোগসাজশে অনুদান এবং ব্যয় দেখিয়ে ওই পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এ অপরাধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। এতে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুমোদন রয়েছে।