ধর্ষণে সহযোগিতা, মায়ের বিরুদ্ধে কিশোরীর মামলা

প্রতিবেশী ও পরিচিত এক পুরুষের হাতে ধর্ষণের পর ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার এক স্কুলছাত্রী তার মায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছে।
গত সোমবার রাতে উপজেলার কেওতা গ্রামের ওই স্কুলছাত্রী (১৫) রাজাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করে। মামলায় দুলাল হাওলাদারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
পাশাপাশি আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই স্কুলছাত্রী অভিযোগ করেছে, তার মা ধর্ষণের ক্ষেত্রে দুলালকে সহযোগিতা করেছেন। তাই তাঁকেও ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ সময় স্কুলছাত্রীর এক খালু তার সঙ্গে ছিলেন। স্কুলছাত্রীর ছোট আরেক বোন (১১) আছে, যে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন-অর রশিদ আজ বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মামলা পাওয়ার পর আমরা তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্কুলছাত্রী অভিযোগ করে, ছোটবেলায় অর্থাৎ আজ থেকে ১২ বছর আগে তাদের বাবা নিখোঁজ হন। তার কিছু দিন পরই দুই বোনকে নিয়ে নানাবাড়ি চলে আসেন তাদের মা। প্রতিবেশী দুলাল হাওলাদার তাদের ঘরে নিয়মিত আসা-যাওয়া করত।
একপর্যায়ে স্কুলছাত্রীর মায়ের সঙ্গে দুলালের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েরা সেটি জানলেও ভয়ে কিছু বলতে পারেনি। একদিন দুলাল ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং তা মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুলাল বেশ কয়েকবারই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্কুলছাত্রী দুই বোনের নিরাপত্তার দাবি জানায়।