ত্রিশালে যুবলীগ নেতার ওপর হামলা, পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/11/05/photo-1478346046.jpg)
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার বাসায় গত বৃহস্পতিবার হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এর পর থেকেই পরিবারটির সদস্যরা প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে ছাত্রলীগকর্মী আদনানের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। এ কারণে কোনো মামলা নেয়নি পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে হামলার শিকার বালিপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আবদুল বারী এই অভিযোগ করেন।
বারী অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারী আদনান বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এখন তাঁর বাড়ির আশপাশে পাহারা বসিয়েছে। এ জন্য তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দলবল নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকায় মহড়াও দিয়েছে আদনান ও বাহিনীর সদস্যরা। হামলার ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তাঁর পরিবার।
এ বিষয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেন।
তবে আবদুল বারী জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার সময় তিনি নিজে বাদী হয়ে ওসি মনিরুজ্জামানের কাছে অভিযোগপত্র দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পৌর যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুয়েল।
যুবলীগ নেতা বারী অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম হোসেন বাদলের ছেলে ছাত্রলীগকর্মী আদনান শতাধিক সহযোগী নিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় গুলিবর্ষণসহ ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় তারা। সেই সময় হামলাকারীরা তাঁর স্ত্রী, সন্তান ও বাসার অন্য নারীদের মারধর করে ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। পরে বাসার ভেতর থেকে আসবাবপত্র রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
বারী দাবি করেন, তাঁর বাসা থেকে ৪০ লাখ টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ট্রেনের কোটি টাকা মূল্যের টিকেট লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। আতঙ্ক ছড়াতে এ সময় আদনান ও তাঁর সহযোগীরা প্রায় ১৫টি গুলি করে।
হামলাকারীরা পরে বালিপাড়া যুবলীগের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করে বলেও জানান আবদুল বারী। তাঁর অভিযোগ, যুবলীগের অফিসে তাঁকে হত্যার জন্য গুলি চালানো হয়। কিন্তু তিনি দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম হোসেন বাদল।