আদালতের কপি পেলে সিটিসেল নিয়ে সিদ্ধান্ত : তারানা

আদালতের সার্টিফায়েড কপি (প্রত্যয়িত অনুলিপি) পাওয়ার পর সিটিসেলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ডাকভবনে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
তারানা হালিম বলেন, সাইবার অপরাধ রোধে দেশের সব সাইবার ক্যাফেতে সিসিটিভি বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্দেশ না মানলে লাইসেন্স বাতিলসহ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, আজ সিটিসেলের তরঙ্গ কেন খুলে দেওয়া হয়নি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন আপিল বিভাগ।
গত ৩ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল করতে পারবে।
আদালত বিটিআরসির পাওনা ৪৭৭ কোটি থেকে ৮০ কোটি টাকা কমানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সিটিসেল ও বিটিআরসির মধ্যে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি করে দেন।
পাওনা টাকা না দেওয়ায় ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। এ সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে ২৪ অক্টোবর চেম্বার কোর্টে আবেদন করে সিটিসেল কর্তৃপক্ষ।
পরে ২৫ অক্টোবর প্রাথমিক শুনানি শেষে ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন চেম্বার আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট এক মাসের শোকজ দিয়ে সিটিসেলকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। প্রায় পৌনে ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া থাকা সিটিসেল গ্রাহকদের প্রথমে ১৬ আগস্ট ও পরে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বিকল্প সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। ২৩ আগস্ট সিটিসেলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, অর্থাৎ অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে সিটিসেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ বিটিআরসির পক্ষ থেকে সিটিসেলকে দেওয়া শোকজ নোটিশের সময় পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিটিআরসি।
গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগ বিটিআরসির পাওনা পরিশোধে সিটিসেলকে দুই মাস সময় দেয়। এর মধ্যে প্রথম মাসে তিন ভাগের দুই ভাগ ও দ্বিতীয় মাসে বাকি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।