শেখ হাসিনাকে ফেরাতে প্রথম আন্দোলন করেছিল যুবলীগ

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে ছিলেন। তখন ১৯৭৮ সালে যুবলীগই সর্বপ্রথম তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিল। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসার মধ্য দিয়ে যুবলীগের সেই আন্দোলন সফল হয়েছিল। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে ঝালকাঠি শহরের বারোচলায় যুবলীগের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ একটি সম্মানজনক মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক ত্যাগ রয়েছে। এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য শেখ হাসিনার অবদানের কথা জাতিকে মনে রাখতে হবে। অপশক্তিরা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করেছে। সাধারণ মানুষের দোয়া আছে বলেই তিনি আজও বেঁচে আছেন।
বাংলাদেশ এরই মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পা রেখেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, বাংলাদেশের যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে বিশ্ববাসী অবাক হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০১৮ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে।
যুবলীগকে একটি আদর্শবাদী সংগঠন উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির নামে স্লোগান দিয়ে দল করা যাবে না। শোডাউনের মধ্য দিয়ে কাউকে নেতা বানানো যাবে না। ত্যাগী ও দলের জন্য যারা নিবেদিত, তাদেরই যুবলীগের কমিটিতে পদ দেওয়া হবে। যোগ্যদের মূল্যায়ন করা হবে। দুঃসময়ে কারা ঝালকাঠিতে যুবলীগের হাল ধরেছিল তা আমার জানা আছে, তাই দলের মধ্যে কোনো রকমের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না বলেও সাবধান করে দেন মন্ত্রী।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক লিয়াকত হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুলতান হোসেন খান, মোবারক হোসেন মল্লিক, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিল, রেজাউল করিম জাকির, যুবলীগ নেতা সৈয়দ মিলন, জামাল হোসেন মিঠু, আবুল ফজল আজিম, আলী আজগর আকাশ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আল-আমীন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠির পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ কর্মকার, যুবলীগ নেতা মো. মোস্তাহিদ হোসেন মিসু, হাফিজ আল মাহাম্মুদ, কামাল শরীফ প্রমুখ।
আলোচনা শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসব পালন করেন শিল্পমন্ত্রী।