গাজীপুরে একদিনে তিন লাশ উদ্ধার

গাজীপুরে আলাদা ঘটনায় একই দিনে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসব লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ক্লাসে নিয়মিত না যাওয়া ও লেখাপড়া মনোযোগী না হওয়ার কারণে আজ সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়া তাঁর মেয়ে শারমিন আক্তারকে (১৬) বকাঝকা করেন। এতে বাবার সঙ্গে অভিমান করে দুপুরে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে শারমিন।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোতালেব জানান, স্বজনরা শারমিনকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সে স্থানীয় বরইবাড়ি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল বলেও জানান ওসি।
এদিকে দুপুরে একই উপজেলার টেকিবাড়ী চানপুর এলাকার কয়েদ আলীর মেয়ে আন্না আক্তারের (২২) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আন্না। এ ঘটনায় আন্না আক্তারের ভাই থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি।
এ ছাড়া শহরের একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নিখোঁজ এক প্রতিবন্ধী শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শিশুটির নাম নয়ন (৭)। সে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বাওসাবাড়ি গ্রামের মো. আব্বাস আলীর ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রফিক (২০) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ির দেউলিয়াবাড়ি এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন আব্বাস আলী। গত বৃহস্পতিবার নয়নের মায়ের সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক রফিকের ঝগড়া হয়। এ ঘটনার পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে নিখোঁজ হয় বাকপ্রতিবন্ধী শিশু নয়ন। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাননি। পরে আজ সকালে বাড়ির পাশের একটি সেপটিক ট্যাংকে নয়নের লাশ দেখতে পান তার মা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় প্রতিবেশী রফিককে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিক ওই শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।